হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সিরিয়া , ইরাক ও লেবাননে ফিতনা সৃষ্টিতে ব্যার্থ হওয়ার পরে আযারবাইজানে ইসরাইলের সিক্রেট সার্ভিস ও গোপন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সমূহের অনুপ্রবেশ ও তৎপরতা এবং সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের ( আইসিস )একটা অংশকে আযারবাইজানে ট্রান্সফার এবং এ সব টেরোরিস্ট দেরকে নাখ্জাভান , নাগোর্নো কারাবাগ অঞ্চল এবং ইরান সীমান্তের কাছে মোতায়েন করানোর কারণে ইরান বিশেষ সামরিক মহড়া শুরু করেছে আজার বাইজান সীমান্তে । বিতর্কিত নাগোর্নো কারাবাগ অঞ্চল কে কেন্দ্র করে
গত বছরের আযারবাইজান - আর্মেনিয়া যুদ্ধ ছিল একটা বাহানা মাত্র । এ যুদ্ধের বাহানায় আসলে তুরস্ক , ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আযারবাইজান - ইরান সীমান্তকে পুনর্বাসিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশকে দিয়ে গোলযোগ সৃষ্টি র মাধ্যমে ইরানী আযারবাইজান অঞ্চলকে অশান্ত ও অস্থির করে ইরানের বিরুদ্ধে নয়া ষড়যন্ত্র আঁটার চেষ্টা করছে । সিরিয়া ও ইরাক থেকে উগ্রবাদী
সন্ত্রাসী আইসিস ( দায়েশ ) গোষ্ঠীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের তত্ত্বাবধানে নাগোর্নো কারাবাগ অঞ্চল ও ইরান - আযারবাইজান সীমান্তে স্থানান্তর থেকে প্রমাণ হয় এ সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জনক হচ্ছে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । ট্রাম্প ২০১৬ সালে নির্বাচনের প্রাক্কালে হিলারি ক্লিনটনকে লক্ষ্য করে বলেছিল : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনই হচ্ছে আইসিসের প্রতিষ্ঠাতা !!! আর আযারবাইজানে আইসিসের একটা অংশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের তত্ত্বাবধানে স্থানান্তর ট্রাম্পের সে দাবিকে সত্য প্রমাণিত করল ।
লেখা: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।